Skip to main content

Posts

গ্রীষ্মকালিন ফল তাহমিনা বেগম গিনি স্কুল জীবনের কথা। অপেক্ষা করতাম কখন হবে গ্রীষ্মকালিন ছুটি। উপলক্ষ নানী ও দাদীর বাড়ি যাব- আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু খাব। আমার খুব একটা মনে পড়ে না তখন আমরা ফল বাজার থেকে কিনে খেতাম কি না। কারণ প্রতিটি বাসা বাড়িতে প্রচুর ফলের গাছ ছিল। সে যে কি মজা যারা নানার বাড়ি, দাদার বাড়ির গাছ থেকে পেড়ে মনের আশা মিটিয়ে ফল খেয়েছেন। আজকালকার ছেলেমেয়েরা এসব ভাবতেই পারে না। আমার ছেলেরাও ওদের দাদার বাড়ির ফল অনেক খেয়েছে কিন্তু তাদের ছেলেমেয়েদের আমি কি তেমন খাওয়াতে পারছি? আগে আমও ধরতো অনেক, যে কোনো ফলেই গাছ ভরা থাকত। এখন জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসন সংকট, বাণিজ্যিক মনোভাবের জন্য ফলের গাছ গ্রামগঞ্জে, বাসাবাড়িতে চোখেই পড়ে না। যার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে বাজারের উপর- কিন্তু প্রশ্ন সেখানেই। নতুন প্রজন্মকে আমরা কি ফলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি? আমার নাতি নাতনি পূণ্য, আতিফ যখন আম, লিচু খেতে চাচ্ছে ঘরে থাকার পরও আমি তাদের দিতে পারছি না। কারণ অনেক খুঁজে পেতে ফরমালিন ছাড়া আম লিচু কিনেছিলাম তাদের জন্য। কিন্তু অবাক হয়ে গিয়েছি ৪/৫ দিনে আম একটিও পঁচেনি কিন্তু খোসাগুলো একেবারে দলা (কুচকে) হয়ে গিয়েছে।
Recent posts